ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

নকশা জালিয়াতি: হুমায়ুনসহ চারজনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইজারাগ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমান চেয়ারম্যান) লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলাবিশিষ্ট এফআর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ১৯৯০ সালে ১৫তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকের অনুমোদন পান এস এম এইচ আই ফারুক। পরে ১৯৯৬ সালে ১৮তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন চেয়ে সংশোধিত নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন তিনি। সংশোধিত নকশা ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী না হওয়া এবং প্রস্তাবিত ভবনের উচ্চতা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর এক মাসের মধ্যেই সংশোধিত ও নকশা অনুমোদন করা হয়। এ কাজে অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

পরে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক চুক্তিবদ্ধ হন আবাসন প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের সঙ্গে। রূপায়ন ওই জায়গায় অবৈধ নকশার ভিত্তিতেই ১৮তলা ভবন নির্মাণ করে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে ভবনের দুই পাশে যে পরিমাণ জায়গা রাখার কথা তা-ও রাখা হয়নি। পার্কিয়ের জায়গার ক্ষেত্রেও রাখা হয়েছে প্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণের এক-তৃতীয়াংশ জায়গা। আবাসিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হলেও পুরো ভবনটি ব্যবহার হয়েছে বাণিজ্যিক হিসেবে।

পাঁচ আসামির মধ্যে সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত।

জেএ/এমএএইচ/জিকেএস