স্কুলছাত্র জিহাদ হত্যা: একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল
২০০৯ সালে নোয়াখালীর স্কুলছাত্র জিহাদ হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি আবদুল ওয়াদুদ মিঠুর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল ওয়াদুদ মিঠু নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর কমর উদ্দিন চৌকিদার বাড়ির গোলাম মোস্তফার ছেলে। একই বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্লাহর ছেলেদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার পরিবারের বিরোধ চলছিল।
এ অবস্থায় ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আনোয়ার উল্লাহর ছেলে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের বড় সন্তান বালুচরা কিন্ডার গার্টেনের কেজি টু শ্রেণির ছাত্র জিহাদকে স্কুলে যাওয়ার পথে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন মিঠু। এ সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকারে মিঠু দা রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জিহাদের চাচা কামাল উদ্দিন ইয়াসিন বাদী হয়ে আবদুল ওয়াদুদ মিঠুকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রংপুর থেকে মিঠুকে গ্রেফতার করে।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১০ সালের ৭ জুলাই আবদুল ওয়াদুদ মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দেন নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি মিঠু আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ মে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামি আপিল করেন। মিঠুর মৃত্যুদণ্ড আজকের রায়েও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এফএইচ/এমআরআর/জেআইএম
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা: ঢামেকে গ্রেফতার পাপিয়া কারাগারে
- ২ মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী আমুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- ৩ যথাযথ আবেদন না থাকায় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামির পক্ষে শুনানি হয়নি
- ৪ ‘রাষ্ট্রীয় পদে যাওয়ার খবরে’ আসামিপক্ষে শুনানি করতে পারেননি সমাজী
- ৫ ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে না, হাইকোর্টের রুল