ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার ও কাউসার আহমেদ।
বুধবার (১৮ আগস্ট) অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত সোমবার (১৬ আগস্ট) ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেছেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
‘ভুক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বললে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।’
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, করোনাকালীন ভুক্তভোগীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা না দিয়ে ই-অরেঞ্জ তাদের মালিকানা পরিবর্তনের নামে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। নতুন মালিক ও পুরোনো মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগীদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া আসামিরা সবধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে গাঢাকা দিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। সেই টাকা ও পণ্যের দাবিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাজধানীর মিরপুরে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনে বিক্ষোভ করলে মাশরাফি বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের সঙ্গে আমার ছয় মাসের চুক্তি ছিল। সেটা শেষ হয়েছে। আমি এখন এটির সঙ্গে নেই। তবুও একজন গ্রাহক বলছে, তাদের পাশে আমাকে থাকতে হবে। আইনগত জায়গায় খুব বেশি কিছু করার নেই। তবুও সাধারণ মানুষের কারণে কথা বলেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তাদের পাশে দাঁড়াব।’
এ ক্রিকেটার বলেন, ‘আমানউল্লাহ যিনি এটার সিইও, তার সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সামনে লাউড স্পিকারে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন তাদের মালিকানা চেঞ্জ হয়েছে, তাই তারা সময় মতো ডেলিভারি দিতে পারেনি। ১৯ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ডেলিভারি দেয়া শুরু করবে। আমি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আছি।’
জেএ/বিএ/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মামুন-জিয়াসহ সাতজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
- ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে শেয়ারট্রিপের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
- ৩ ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি
- ৪ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: পিএসসির দুই কর্মচারী কারাগারে
- ৫ দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ১২৫ নেতাকর্মী