মাইক্রোবাসচালক লিটন হত্যা : ২ জনের মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল
২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে লিটন আলী নামে এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যার দায়ে গাড়ি ছিনতাই চক্রের দুই সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা তাদের আপিল খারিজ করে সোমবার (৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
আসামিরা হলো- রংপুর জেলা সদরের হাসানপুর গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে আলামীন (২৭) ও বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার রোহা চরপাড়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে খোকন আকন্দ (২৭)।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিরিন আফরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
এর আগে, ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি মাইক্রোবাসচালক লিটন হত্যায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন দিয়ে আসামিদের ফৌজদারি আপিল খারিজ করে এ রায় দিয়েছিলেন তারা।
পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আজ সোমবার দু’জনের মৃত্যুদণ্ডও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল উল্লিখিত আসামিরা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে লিটনের মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। তারপর মাইক্রোবাসে চড়ে তারা রংপুর জেলার পলাশবাড়ি এলাকায় গিয়ে লিটনকে মাদকমিশ্রিত খাবার খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভারাঙ্গা এলাকায় তার মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
এ মামলায় ২০১১ সালের ৯ জুন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল সালেক দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরবর্তীতে আসামিদের জেল আপিল ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের শুনানি হয় হাইকোর্টে। এরপর আপিল বিভাগের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি হয়।
এফএইচ/ইএ/জিকেএস