ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাকার রায় ফাঁস : ব্যারিস্টার ফখরুলের মুক্তিতে বাধা নেই

প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের ওপর নো অর্ডার দিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। এই আদেশের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন, ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন।

তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ‘সাকার রায় ফাঁসের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন ফখরুল। সেই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে গেলে শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার আদেশে বলেন, ‘নো অর্ডার’। অর্থাৎ হাইকোর্টে জামিন আদেশ বহাল চেম্বারেও। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই।

বৃহস্পতিবার আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান ভূইয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপেক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলিরুজ্জামান।

তার আগে হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আজই আবেদন করে। এ আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ব্যাপারে আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন চেম্বার বিচারপতি। এই মুহূর্তে কারগার থেকে ফখরুল ইসলামের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী।

তার আগে গত ৭ ডিসেম্বর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১২ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি শেষে গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত ২৮ অগাস্ট আইনজীবী ফখরুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহাজান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তুলে তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। যাতে ট্রাইব্যুনালের কর্মী ফারুক ও নয়ন এবং আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়েছিল।

পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৪ (২), ৫৭ (২), ৬৩ (২) ও ৬৬ (২) ধারায় ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়, যেখানে ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়। সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁস করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় ব্যারিস্টার ফখরুলকে। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি