প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (নতুন জাতীয়করণ) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে এই রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।
অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্যানেলভু্ক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর মাধ্যমে প্যানেলভুক্তদের নিয়োগে যে আইনি জটিলতা ছিলো, তা আর রইলো না।
জানা গেছে , ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড (বেসরকারি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়। সে সময় প্রায় ১৪ হাজারের মতো নিয়োগও দেয় সরকার। এতে করে মেধা তালিকার প্রথম দিকে থেকেও অনেকে নিয়োগ বঞ্চিত হন। পরে ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এরপর থেকে নিয়োগ বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন চাকরি প্রত্যাশী প্যানেলভুক্ত শিক্ষকরা।
পরে নিয়োগ বঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত সদস্যদের মধ্য থেকে কয়েক হাজারজন ইউনিয়নভিক্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। আজ বুধবার রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগের নির্দেশ দেন।
এফএইচ/জেডএইচ/পিআর