ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: ০৪:৫৩ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

এর আগে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসি হয়েছে। নিজমীর বিরুদ্ধেও এই অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে। একই অপরাধে রায়ের ধারাবিহকতায় মতিউর রহমান নিজামীর সর্বোচ্চ শাস্তিই চান রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অপরদিকে যে সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে দেয়া হয়েছে তাতে মতিউর রহমান নিজামী খালাস পাবেন বলে আশা করেছেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। মঙ্গলবার নিজামীর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন দুই পক্ষ।  

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উনি (নিজামী) আল বদরের উদ্দেশ্যে যে লেখা লিখেছে তা আল বদরদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য। আল বদরদের আরো কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য। তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এ লেখার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর বা তার কাছাকাছি সময়ে আল বদরদের হাতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা জীবন হারিয়েছে। কাজেই আল বদরদের ব্যাপারে ওনার যে বক্তব্য সেটা পিন পয়েন্টে। সুতরাং এ থেকে ওনাকে অব্যাহতি দেওয়া যায়না।

মাহবুবে আলম বলেন, আল বদর বাহিনী যখন গঠিত হয়। তখন তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন। আর ছাত্র সংঘের সদস্যের সমন্বয়ে আল বদর গঠিত হয়। ওনাদের (আসামি) পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে উনি অক্টোবর থেকে আর ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন না। সুতরাং ওনার কোনো নেতৃত্ব দেয়ার আর সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা বলেছি উনি নভেম্বর যে লেখা লিখেছেন তাতে দেখা যায় আল বদরদের ওপর ওনার কন্ট্রোল ছিলো।

তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে মতিউর নিজামী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তথা মৃত্যুদণ্ড যদি না পান তাহলে আমরা হতাশ হবো। আপিন ফাঁসির আবেদন করেছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ।

বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগে মুজাহিদের ফাঁসি হয়েছে, একই অপরাধে নিজামীর বিষয়ে কি আশা করছেন এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, মুজাহিদের মামলার রায় আদালতে পেশ করেছি। ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতৃত্বে নিজামী-মুজাহিদ গোলাম আযমের নাম ছিলো। যেহেতু একই অপরাধে মুজাহিদের ফাঁসি হয়েছিলো। তাই রায়ের একইরকম ধারবাহিকতা বজায় রাখতে একই অপরাধে নিজামীরও ফাঁসির দাবি করছি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যার কথা স্বীকার করছেন। কিন্ত ওনারা উপস্থিতি ছিলেন না। কিন্তু আইনে আছে তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে এসব মামলায় দণ্ড দেয়া যাবে।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস