সাক্ষী সুরক্ষা আইন করতে আদালতের নির্দেশ
ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চতায় আইন করতে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার এক হত্যা মামলায় আসামীর জামিন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আইনে সমন পাওয়ার পর নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী উপস্থিত না হলে সংশ্লিষ্ট পিপি ও পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিধান যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দেন আদালত।
২০১০ সালের ১৪ জুন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রিংকু নামের এক ব্যক্তিতে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হীরা ওরফে হারুন নামের এক ব্যক্তিকে একই বছরের ১০ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৩য় আদালতে ২০১২ সালের ৫ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর প্রায় ৮ থেকে ১০ বার সাক্ষী সমন করা হয়।কিন্তু সাক্ষী হাজির হয়নি।
এর মধ্যে আসামীপক্ষ জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এ আবেদনের পর হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপিকে তলব করেন। এ আদেশ অনুসারে অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে বলেন, আসামি খুব ভয়ংকর। তার ভয়ে কেউ সাক্ষী দিতে আসে না।
পরে হাইকোর্ট আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
এফএইচ/এএইচ/পিআর