নাশকতার মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী
২০১৩ সালের হরতাল অবরোধের সময় নাশকতার অভিযোগে রাজধানী ঢাকায় করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার ফলে তার মুক্তিতে কোন বাধা নেই।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রোববার (৩০ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান হাসিব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ জানান, নাশকতার অভিযোগে রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং একইবছরের ২২ এপ্রিল অপর মামলাটি শাহবাগ থানায় করা হয়। এই দুটি মামলায় কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে আসামি হিসেবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় তিনি আজ জামিন পান।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে আসলাম চৌধরীকে দেয়া এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে। তাতে জামিন স্থগিত চাওয়া হবে, যাতে তিনি কারাগার থেকে বের না হতে পারেন।
জানা গেছে, রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির আলোচিত নেতা আসলাম চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই দুই মামলায় জামিন পাওয়ার ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলেও জানান আইনজীবীরা।
২০২৬ সালের ২৬ মে নগরীর গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারায় মামলাটি করা হয়।
দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়েছে।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে আসলাম চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রুল জারি করে আসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে ওই রুলের শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ২৪ মে আসলাম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করে মতিঝিল ও লালবাগ থানায় করা নাশকতার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ