ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আজই মুক্তি পাবেন রোজিনা, আশা আইনজীবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ২৩ মে ২০২১

অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরপর রোজিনার জামিননামা ও পাসপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজই জামিনে মুক্ত হবেন রোজিনা- এমন আশা তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকারের।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। আজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আমরা আশা করছি আজকেই জামিননামা কারাগারে পৌঁছাবে। আর রোজিনা আজকেই জামিনে মুক্ত পাবেন।’

রোববার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত রোজিনার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও সুমন কুমার রায় আদালতে তার জামিননামা ও পাসপোর্ট দাখিল করেন।

এদিন জামিনের আদেশে বিচারক বলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। এ ছাড়া তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ও সহনশীল আচরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালতে সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি, আমিনুল গনি টিটু, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আশরাফুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন হেমায়েত উদ্দিন হিরোন।

আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (২৩ মে) দিন ধার্য করেন।

গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।

এরপর রোজিনার আইনজীবীরা তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর সোমবার (১৭ মে) রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।

জেএ/ইএ/জেআইএম