করোনা টেস্টের ৪ ট্রাক নকল কিট জব্দ : রিমান্ড শেষে ৯ জন কারাগারে
করোনা শনাক্তের নকল কিট, রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার তিন প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ এপ্রিল) তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা (৪০), ব্যবস্থাপক মো. শহীদুল আলম (৪২), প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির (২৪), অফিস সহকারী মো. জিয়াউর রহমান (৩৫), হিসাবরক্ষক মো. সুমন (৩৫), অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক (২৭), সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা (২৮), এক্সন টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. মাহমুদুল হাসান (৪০), হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেডের এমডি এস এম মোজফা কামাল (৪৮)।
এর আগে গত শনিবার (১৭ এপ্রিল) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মোহাম্মদপুর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, করোনা শনাক্তের নকল কিট, রি-এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে বিক্রির অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় চার ট্রাক অনুমোদনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল টেস্ট কিট, রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়। নকল টেস্ট কিটগুলো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করত চক্রটি। এছাড়া তাদের কাছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যানসার, এইডস ও প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটও পাওয়া গেছে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া ও বনানী এলাকায় টানা অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
জেএ/এএএইচ/জেআইএম