করোনায় মারা গেলেন অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট থাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী জেনি (৫৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এই আইনজীবীর মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তিনি এক সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং গত তিনদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায়। তিনি ১৯৯২ সালের ১০ মে আইন পেশার সনদপ্রাপ্ত হয়ে একই বছরের ৯ জুন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি পান এবং ১৯৯৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।
অ্যাডভোকেট রেজিনার বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে রেজিনার মা ও বড় বোন করোনা আক্রান্ত হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট রেজিনার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সেইসঙ্গে তারা মরহুমার মা ও বড় বোনের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।
এদিকে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মালা রউথ গত ১৯ মার্চ মারা গেলেও তার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কারোরই জানা ছিল না। আজ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘মালা রউথ করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। আক্রান্ত অবস্থায় তিনি ধামরাইয়ে তার বোনের বাড়িতে মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মালা রউথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক সময়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার ঘর-সংসার করা হয়ে ওঠেনি।’
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুসহ কমপক্ষে চারজন আইনজীবী মারা গেছেন।
এফএইচ/এমআরআর