ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

৪৮ হাজার মামলার বিচারক ২৪ জন

প্রকাশিত: ০৭:৫৫ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

বরিশালে জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধ। অপরাধের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মামলার সংখ্যাও। তবে সে তুলনায় বাড়েনি আদালত ও বিচারকের সংখ্যা। বরিশালে ৪০টির বেশি আদালতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৪৮ হাজার ৬`শ ৭৬টি। এই পাহাড় সমতুল্য মামলার বিচার কাজের জন্য বর্তমানে বিচারক রয়েছেন মাত্র ২৪ জন।

এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, নতুন কোনো মামলা না এলে উল্লেখিত সংখ্যক মামলার নিষ্পত্তি করতে সময় লাগবে অন্তত ১২ বছর। তবে এর সঙ্গে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে। ফলে মামলার জট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

মামলাগুলোর প্রায় ৪০ হাজার বিচার প্রার্থী ও এই সংখ্যা থেকে কয়েকগুণ বেশি বিচার প্রত্যাশিদের দুর্ভোগ ক্রমে ক্রমে বাড়বেই বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিচারক সঙ্কট মামলা জটের একমাত্র কারণ মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা। সাক্ষীদের অনুপস্থিতি, বেশিরভাগ মামলায় পুলিশের দায়সারা তদন্ত রিপোর্ট, রাজনৈতিক নেতাদের অদৃশ্য প্রভাব বিস্তার ও সর্বোপরি আইনজীবী এবং আদালতের কর্মচারীদের আন্তরিকতার ঘাটতি মামলা দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিচার প্রার্থী ও প্রত্যাশীরা।

তাদের মতে, শুধু আদালত ও বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হলেই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে না। এসব সমস্যারও সমাধান করতে হবে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর র্যাব-৮ নগরীর রূপাতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শাহিন মাঝিকে ২০ পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করে। এই ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার বিচার কাজ শুরুর জন্য আদালতে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। কিন্তু মামলার ১১ সাক্ষীর একজনও ধার্য তারিখগুলোতে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচার কাজ থমকে যায়। তাদের আদালতে হাজির করার জন্য কোতয়ালী মডেল থানার ওসির কাছে মোট ১৩ বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নোটিশ পাঠান আদালত।

Barisal

কিন্তু তিনি ওই নোটিশের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ওসি। এছাড়াও নির্দেশ তামিল সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদনও আদালতে জমা দেননি তিনি। এর প্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে ওসিকে সাক্ষীদের হাজির করার জন্য জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দেন আদালত। এরপরও সাক্ষীদের হাজির না করায় গত ১৮ নভেম্বর বরিশালের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হামিদ নির্দেশ অমান্য করায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়। একইভাবে সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে নিষ্পত্তি হচ্ছে না বরিশাল আদালতের কয়েক হাজার মামলা।

আদালতের অপর একটি সূত্র জানায়, দ্রুত মামলা নিষ্পতির প্রথম ধাপ হচ্ছে তদন্ত সঠিকভাবে করে সময়মতো রিপোর্ট দেয়া। এরপর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকা দরকার। যত দ্রুত সাক্ষ্য শেষ হবে তত দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হবে মামলার। তবে সাক্ষীদের হাজিরার জন্য আদালত থেকে নোটিশ দেয়া হলেও আসামি পক্ষ অর্থের বিনিময়ে ওই নোটিশের খবর সাক্ষীদের জানতে দেন না। পরবর্তীতে ওই সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তাছাড়া নিজের সময় ও অর্থ ব্যয় করে সাক্ষ্য দিতে এসে হুমকির মধ্যেও পড়তে হয় সাক্ষীদের। আর এসব কারণে মামলার সাক্ষীরা নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। শুধু সাক্ষীদের কারণে বরিশাল আদালতে কয়েক হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে।

একাধিক মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তের সময় থেকেই তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামী পক্ষ প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। বেশীর ভাগ সময় নিজেদের রক্ষা বা রিপোর্ট পক্ষে নিতে উৎকোচ দেন তারা। এতেও কাজ না হলে তারা দ্বারস্থ হন রাজনৈতিক নেতাদের।  এসব চাপের কারণে তদন্ত কাজ ব্যাহতসহ রিপোর্টে গড়মিল দেখা দেয়। এরপর শুরু হয় মামলার বিচার কাজ। অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষীদের আদালতের ধার্য করা নির্ধারিত তারিখে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখে সাক্ষীরা নিজ থেকে বা পুলিশ তাদের হাজির করতে না পারায় আদালত পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হন। পরবর্তী তারিখেও সাক্ষীরা হাজির না হলে আদালত আবারো সমন জারি করেন। সাক্ষীদের আদালতে হাজিরের সমন জারি করা হলেও আসামি পক্ষের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তাদেরকে ওই সমন জানতে দেয়া হয় না।

তবে এক্ষেত্রে বাদী যদি বিষয়টি জানতে পারেন তাহলে তিনি তার মামলার সুষ্ঠু বিচারের আসায় আদালত থেকে কাগজপত্র বের করে সাক্ষীদের নির্দিষ্ট তারিখে হাজির করান। আর বাদীর কোনো হস্তক্ষেপ না থাকলে সাক্ষী কোনোভাবে জানতে পারেন না নির্দিষ্ট তারিখ। তবে ৩ থেকে ৪ বার সমন জারির পরও সাক্ষী না আসলে আদালত থেকে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তখন সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কপি নিয়ে হাজির হন পুলিশ।

সাক্ষী গ্রেফতার এড়াতে অর্থের মাধ্যমে পুলিশকে বিদায় দিয়ে নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার অঙ্গীকার করে রক্ষা পান।

সাক্ষীদের অভিযোগ, র্যাব-পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় তাদের ইচ্ছামতো নাম লিখে নিয়ে সাক্ষী করা হয়। এক্ষেত্রে ওই বিষয়ে কিছু না জানা থাকলেও তাদেরকে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন মামলায় সাক্ষী দেয়ার পূর্বে বাদী থেকে শুরু করে আসামি পক্ষের লোকজন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেন। আদালত প্রাঙ্গনে যাওয়ার পর সাক্ষ্য দিতে আইনজীবী ও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এরপর সাক্ষ্য দেয়ার পর হুমকির মধ্যে পড়তে হয় তার পরিবারকে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

আদালতের বেঞ্চ সহকারীরা জানান, সাক্ষীদের উপস্থিত করার জন্য বারবার পুলিশকে বলা হলেও এবং সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে তারা সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও বাদীরা মামলা করার পর থেকেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ মনে করেন। তারা সাক্ষী হাজিরের পেছনে দায়সারা ভাব প্রকাশ করে কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, একটি মামলা হওয়ার পর বিচারকার্য পর্যন্ত যেতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর বা এর বেশি সময় লাগে। এরপর সাক্ষ্য নেয়ার জন্য প্রস্তুত হলে দেখা যায় সাক্ষীরা ঠিকানা বদল করে চলে গেছেন। কেউ বা ওই স্থানের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে অন্য স্থানে থাকেন। আবার যথা সময়ে তাদেরকে পাওয়া যায় না। কেউ কেউ সাক্ষ্য দিতেও অস্বীকৃতি জানান। এসব কারণে অধিকাংশ সাক্ষীদের হাজির করা সম্ভব হয় না।

এই খণ্ড চিত্র ছিল ফৌজদারী মামলার। দীর্ঘসূত্রতার দিক থেকে ফৌজদারী মামলার সময়কালের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সময় ব্যহত হয় দেওয়ানী মামলায়। মামলা দায়ের হলে চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ফলে বিচারপ্রার্থীরা দিনের পর দিন আদালতে এসে আইনজীবী ও তাদের সহকারীদের ফি দিয়ে মামলার পরবর্তী তারিখ নিয়ে বিষন্ন মনে বাড়ি ফেরেন।

বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির জালাল আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানান, বরিশাল জজশিপের বিচারকের ১৭টি পদ রয়েছে। ১৭টি পদের মধ্যে চারটি বিচারকের পদ দীর্ঘ দিন ধরে ধরে শুন্য রয়েছে। একজন বিচারক এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন ছুটিতে।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ফৌজদারী মামলার সেরেস্তাদার আ. কাদের জাগো নিউজকে জানান, বরিশাল জেলা জজশিপে বিচারাধীন রয়েছে ২ হাজার ৯শ ২৯টি ফৌজদারী মামলা।

বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়ানী মামলার সেরেস্তাদার আবুল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, জেলা জজশিপের ১৭টি আদালতে ২৪ হাজার ৫শ ৭৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধিনে ১১ পদের ৭টি এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচটি পদের তিনটি দীর্ঘদিন ধরে শুন্য আছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আট হাজার ৫৪৪ এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে পাঁচ হাজার ৫২৩।

এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুই হাজার ৫২০ মামলা, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে দুই হাজার ৮৮৮টি মামলা, জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৪৫৬টি মামলা, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে ৩১৬টি মামলা, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে ৩২টি মামলা, বিদ্যুৎ আদালতে ৬`শ টি মামলা, টিঅ্যান্ডটি আদালতে ৩৫০টিসহ আরো কয়েকটি আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এ আদালতে বিচারাধীন মামলা রয়েছে মাত্র একটি। বাকি আটটি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে রয়েছে। আইনজীবীরা জানান, অন্য আদালতগুলোতে মামলার স্তপ জমলেও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মাত্র একটি মামলা বিচারাধীন। মামলা প্রেরণে জটিল প্রক্রিয়ার কারণে আদালতের কর্মচারীরা বেশিরভাগ সময় অলস সময় পার করছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক জাগো নিউজকে জানান, প্রায় ক্ষেত্রেই পুলিশ দেয়া তদন্ত রিপোর্টে ত্রুটি দেখা দেয়। বাদী নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত তা প্রত্যাখান করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। এটাও মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণ। আর মামলায় প্রয়োজন ছাড়াই বেশি সংখ্যক সাক্ষী করা হয়। পরে বিচার চলাকালীন সময় তাদের আর হদিস থাকে না।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিস উদ্দিন শহিদ জাগো নিউজকে জানান, বিভাগীয় শহর হওয়া সত্ত্বেও বরিশাল আদালত অঙ্গনের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিচারক সঙ্কট, ভবন সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে মৌখিক ও লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুফল পাওয়া যায়নি।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট কেবিএস আহম্মেদ কবির জাগো নিউজকে জানান, দেওয়ানী মামলার আইন অনেক পুরনো। দেওয়ানী আইনকে সময় উপযোগী করা দরকার। তা না হলে বিচার কাজ দ্রুত নিষ্পত্তি করা কঠিন।

মামলার দীর্ঘসূত্রতার প্রসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন কাবুল জাগো নিউজকে জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অপরাধের ধরন ও অপরাধ বেড়েছে। তবে সে তুলনায় আদালত ও বিচারকের সংখ্যা বাড়েনি। জজশিপের বিচারকের ১৭টি পদের মধ্যে চারটি বিচারকের পদ দীর্ঘ দিন ধরে ধরে শুন্য রয়েছে। একজন বিচারক এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন ছুটিতে। বিচারক না থাকার কারণে যে বিচারকরা উপস্থিত আছেন তাদের উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকে। ফলে মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে যেন বিচারকদের শুন্য পদগুলো পূরণ করা হয় অচিরেই।

সাক্ষীদের প্রসঙ্গে পিপি বলেন, আসামি পক্ষের প্রভাব বিস্তার ও নিরাপত্তার কারণে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পুলিশের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে জানান, সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু তারা সেই কাজটা করতে ব্যর্থ হয়।

তিনি আইনজীবীদের সাক্ষ্য নিতে টাকা চাওয়া ও হুমকি সম্পর্কে জাগো নিউজকে জানান, এমন কোনো অভিযোগ আসলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, অনেক সময় সাক্ষীরা আসামি পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। এ সাক্ষ্য মামলার বা রাষ্ট্রপক্ষের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষী নেয়া হয় না।
 
জেলা পুলিশ সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, সাক্ষীদের নিজের টাকা খরচ করেই সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হতে হয়। এক্ষেত্রে দূর দূরান্তে থাকা গরীব সাক্ষীদের জন্য সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসা অনেকটাই ব্যয়বহুল। যাতায়াতের খরচের টাকা যোগাড় করতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। কিন্ত এক মামলায় একাধিক তারিখে সাক্ষ্য দিতে হাজির হওয়ার প্রয়োজন হলে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে সাক্ষীদের প্রতি আদালতে যে নির্দেশনা থাকে তাই পালন করে পুলিশ।

এমজেড/পিআর