ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মেডিয়েশনে মামলা জট কমানো সম্ভব : বিচারপতি ইমান আলী

নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১১:০৫ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২১

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে মামলার জট কমানোর জন্য মেডিয়েশন (মধ্যস্থতা) পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই। বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল অবস্থায় মেডিয়েশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর বিচার কাজে তা প্রয়োগের মাধ্যমে মামলা জট কমানো সম্ভব।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে মেডিয়েশন বিষয়ে খুলনা বিভাগের বিচারকদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভার্চুয়ালি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিতাল বলেন, বিচারকাজে মেডিয়েশনের উপাদানগুলো সুক্ষ্মভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

তিনি কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স তুলে ধরে বলেন, সাধারণ জনগণকে মেডিয়েশন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারলে বিচার তরান্বিত করা যাবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, আফ্রিকা-এশিয়া মেডিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেডলিন কিমিই, বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষক কেভিন ব্রাউন, মি. ইনভাবিজায়ান, জামেলা এ. আলী, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর তনুশ্রী রায় ও প্রিয়াংকা চক্রবর্তী।

এই কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ৪০ জন বিচারক অংশ গ্রহণ করেন। তারা হলেন, সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর ইসলাম, সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ফারুক ইকবাল, সাতক্ষীরার (যুগ্ম জেলা জজ) ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. জাহিদুল আজাদ, যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস, যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আসিফ ইকবাল, চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী, ঝিনাইদহের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসুদ আলী, বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. খুরশিদ আলম, কুষ্টিয়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. রাকিবুল ইসলাম, মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. কেরামত আলী, নড়াইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আকরাম হোসেন, খুলনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এম এ সাঈদ, মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান আলী, খুলনার বিচারক (অর্থ ঋণ আদালত) রাফিয়া ইসলাম, যশোরের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোঃ আহসান হাবীব, সাতক্ষীরার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) সালমা আক্তার, খুলনার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) প্রবীর কুমার দাস, বাগেরহাটের সহকারী জজ ও লিগাল এইড অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরান মোল্লা, মেহেরপুরের লিগ্যাল এইড অফিসার মো. সেলিম রেজা, নড়াইলের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার পশুপতি বিশ্বাস, মাগুরার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার নুসরাত জাবীন নিম্মী, সাতক্ষীরার সিনিয়র সহকারী জজ মো. নাসিরুদ্দিন ফরাজী, কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাদিউজ্জামান, যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ মো. মিজানুর রহমান নাসির উদ্দিন, খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ প্রণব কুমার হুই, নড়াইলের সিনিয়র সহকারী জজ তাকিয়া সুলতানা, মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ বিল্লাল হোসেন, সাতক্ষীরার সহকারী জজ মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাতক্ষীরার সহকারী জজ মো. ইমরান আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ নাজনীন আক্তার, চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ (ভারপ্রাপ্ত লিগ্যাল এইড অফিস) মো. আরমান হোসেন, যশোরের সহকারী জজ রেজাউল করিম বাঁধন, খুলনার সহকারী জজ মো. রাশিদুল আলম, খুলনার সহকারী জজ রিমি সাহা, ঝিনাইদহের সহকারী জজ মো. রিপন হোসেন, ঝিনাইদহের সহকারী জজ মো. রিয়াদ হাসান, বাগেরহাটের সহকারী জজ জুবাইদা নাসরিন বর্ণা, কুষ্টিয়ার সহকারী জজ রাইসা সরকার, কুষ্টিয়ার সহকারী জজ মো. মোখলেছুর রহমান, মাগুরার সহকারী জজ অনুশ্রী রায়।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) উদ্যোগে ক্রমান্বয়ে সারাদেশের বিচারকদের মেডিয়েশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে। ইতোমধ্যেই রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বিচারকদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিয়েটররা প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।

এফএইচ/এসএস