ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মোবাইল কোর্টের ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট-২০০৯ এর ১১টি ধারা সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে  স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে রিটকারীর আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন।

পিনাকল সোসিং লিমিটেড নামক ফুড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানির পক্ষে করা এক রিটের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।  

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকটে মো. মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনরেল বিশ্বজিত রায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর পিনাকল সোসিং লিমিটেড নামক ফুড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানিতে র্যাব কিছু পন্য জব্ধ করে অনিয়মের অভিযোগে তিন কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান, শাখাওয়াত ও দেবাশীষ ভট্টাচার্জকে সাজা এবং কোম্পানিকে জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত)। অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানির কেউ দোষ স্বীকার না করা সত্ত্বেও তাদের দোষ স্বীকার করা হয়েছে মর্মে জরিমানা ও সাজা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার দিন গত ২৬ অক্টোবর মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট-২০০৯ এর ৫, ৫(১), (২),(৪),৭,৮(১),৯,১০,১১,১৩ ও ১৫ ধারাগুলো চ্যালেঞ্জ করে পিনাকল সোসিং লিমিটেড নামক ফুড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানিতে রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী আরো বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর্যবেক্ষনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ) আইনের উক্ত ধারাগুলো সংবিধানের-২২, ২৭, ৩১ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রিটকারির আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শুধু নির্বাহী কাজ পরিচালনা করবেন। আর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা আদালতে বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য রয়েছে বিচারিক আদালত। তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা অবৈধ।

এফএইচ/এআরএস/পিআর