পাপুলের এক সহযোগীর জামিন মেলেনি হাইকোর্টে
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের এক সহযোগী এম এ মাসুদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেস রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করা হয়েছে।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন জামিন আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
অমিত দাস গুপ্ত বলেন, ‘আমরা আবেদনের নথি হাতে পাইনি। তবে, আমরা যেটা জেনেছি তার বিরুদ্ধে মানব প্রাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় জামিন নিতে আসলে আদালত তার জামিন দিতে চাননি। তখন এম এ মাসুদের আইনজীবী জামিন আবেদনটি রিজেক্ট করার আর্জি জানান। পরে আদালত তার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন।’
জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
মানব ও মুদ্রাপাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান বাংলাদেশের এমপি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারক বাংলাদেশের সাবেক এই এমপির পাশাপাশি সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহকেও চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করেন।
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে শহিদকে গত বছরের ৬ জুন রাতে তার কুয়েত সিটির বাসা থেকে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।
এফএইচ/ইএ/এমআরআর/জিকেএস