খেয়া ঘাটের টাকা আত্মসাৎ : দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
খেয়া ঘাটের ইজারার টাকা আত্মসাতের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে মামলার কার্যক্রম চার সপ্তাহের জন্যে মুলতবি করা হয়। এছাড়া আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য বিচারিক (নিম্ন) আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দুর্নীতি নিয়ে করা মামলার আসামিদের জামিন শুনানিতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারী এসএম নাজমুল হোসেন।
আদালতে আজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাইনুল হাসান। অপর আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ওজি উল্লাহ। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
এর আগে মামলার আসামি জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারী এসএম নাজমুল হোসেনের জামিন আবেদনের উপর শুনানিতে ভার্চুয়াল বেঞ্চ গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের তিন কর্মকর্তাকে আসামি না করায় দুদকের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসানসহ চারজনকে তলব করেছিলেন।
এরপর তারা গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে উপস্থিত হন। সেদিন তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয় এবং কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আদালত। এরপর শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন।
২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে, সাতক্ষীরা জেলার ২১টি খেয়াঘাট ইজারার ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারী এসএম নাজমুল হোসেন, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ২৭ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।
এফএইচ/জেডএইচ/এমকেএইচ