ঐশীর মৃত্যুদণ্ড : ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের মেয়ে ঐশীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন বিষয়ক (ডেথ রেফারেন্স) নথিপত্র হাইকোর্টে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিচারিক আদালতে নথিটি পৌঁছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ সিদ্দিক।
সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল দায়ের করে থাকেন। সরকার যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করতে চায় তাহলে রেজিস্ট্রার কার্যালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। যেমনটি নিয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা ও সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ এস আলী হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের ক্ষেত্রে।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে এই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার জন্য ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে খালাস পেয়েছেন মামলার অন্য আসামি ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।
নিজ সন্তানের হাতে পুলিশ দম্পতি হত্যার ঘটনায় আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ। এ সময় ঐশী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ঘটনার সময় আসামি ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিবেচনায় ঐশীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে নিজেই খুন করার কথা স্বীকার করেন।
এফএইচ/একে/আরআইপি