ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে কারাগারে আ.লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহারুল আনামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এছাড়া মামলার এজাহার আসলে তা গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। দারুসসালাম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওয়াদুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এদিন যৌতুকের জন্য মারধরের ঘটনায় মাজহারুল আনামের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ) ধারায় এই মামলা করা হয়। মামলায় এবিএম মাজহারুল আনাম ছাড়া আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, মাকসুদ আনাম, মিলি, ফুয়াদ, সাগর সরকার ও নাজমা আক্তার মুন্নি।

মামলার অভিযোগে তার স্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে মাজাহারুল আনামের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের ১১ বছর বয়সী এক ছেলেও আছে। তাদের ছেলে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে মাজাহারুল আনাম তার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনেছিলেন। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দেয় মাজাহারুল।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, টাকা না আনায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তাকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আপসের উদ্দেশ্যে গত ২৫ জানুয়ারি মাজাহারুল আনামের বাসায় যান তিনি। যৌতুকের টাকা না নিয়ে বাসায় ঢোকায় মাজাহারুল আনাম চুলের মুঠি ধরে তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারেন। বাঁশের লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয়। এ সময় অন্য আসামিরাও ফিরোজাকে মারধর করেন বলে মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

জেএ/এআরএ/এমএস