ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

যেকোনো সময় গ্রেফতার হচ্ছেন এমপি রানা

প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার ছোট ভাই পৌর মেয়র শহিদুর রহমান মুক্তি।
 
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এ সংসদ সদস্য এবং ছোট ভাই শহিদুর রহমান মুক্তিকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ কর্তৃক বাতিল হওয়ায় যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তারা।
 
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এমপি রানা ও তার ভাইকে গ্রেফতারে আর কোনো বাধা নেই।
 
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বে তিন সদস্যের  আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই আপিল খারিজ হয় ।
 
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, আপিল বিভাগের আদেশ সম্পর্কে তিনি জেনেছেন।

তিনি বলেন, তবে আমরা এমপি রানাকে গত ১৪ মাস ধরে খুঁজছি। তিনি পলাতক রয়েছেন। আদালতের এই আদেশের পরে তাকে গ্রেফতারে আর কোনো বাধা নেই। যে কোনো সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।
 
এর আগে গত ১২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য রানা ও তার ভাই সাঈদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। এই আবেদনের ওপর শুনানি করে অবকাশকালীন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
 
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
তদন্ত করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ গত আগস্টে এমপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে রিমাণ্ডে নেয়।

গত ২৭ আগস্ট রাজা এবং ৫ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ফারুক আহমেদ হত্যার সঙ্গে সংসদ সদস্য আমানুর, মেয়র মুক্তি এবং তাদের অপর দুই ভাই জাহিদুর ও বাপ্পার জড়িত থাকার কথা উঠে আসে।

জেইউ/এসকেডি/পিআর

আরও পড়ুন