সনদের দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের শাহবাগে অবস্থান
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ছাড়া শুধু মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) গ্রহণ করে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক এই আইন শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। আজ তাদের প্রতীকী অনশনের ১৩৬ তম দিন।
এর আগে গত ৭ জুলাই থেকে আমরণ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। এরপর তারা সমাবেশ করেন। তারও আগে গত ৩০ জুন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও সনদদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল যাতে তাদের দাবি পূরণ করে সেই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
এর আগে সনদের গেজেট প্রকাশের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। এরপর গত ৮ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যান তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছরে একটি মাত্র এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত ৬ জুন তারা ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণ না করে সনদ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও আইন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়। এরপর গত ৯ জুন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তীর্ণ হই। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী এনরোলমেন্ট পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে লিখিত পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে যায়।
এ অবস্থায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ব্যাপারে মানবিকভাবে বিবেচনা করে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে শুধু মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নিয়ে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের সনদ প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এফএইচ/এআরএ/জেআইএম