ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করে - আদম আলী

প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার নাসির উদ্দিন আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তার ছেলে এবং মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী আদম আলী। অন্যদিকে প্রথম সাক্ষী বলেন, আসামি এটিএম নাসিরসহ রাজাকাররা আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনকে হত্যা করে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে  প্রসিকিউশনের জবানবন্দি পেশ করার সময় আদম আলী এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মো. মেহেদুল আলম এবং দ্বিতীয় সাক্ষী আদম আলী তাদের জবানবন্দি দেন। বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।   
 
জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদেরকে জেরা করেন রাষ্ট্র নিয়জিত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। বৃহস্পতিবার পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

১ম সাক্ষী মো. মেহেদী উল আলম (৫৮) বলেন, আমার নাম মো. মেহেদী উল আলম (৬১)। গ্রাম. উত্তর মনসন্তুস, করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ। একাত্তরের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আমি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেই। ১২ নভেম্বর রাজাকার কমান্ডার আসামি আব্দুল মান্নান, এটিএম নাসির, আসামি শামছুদ্দিনসহ ৭০/৮০ জন রাজাকার পেরুয়া ব্রীজ সংলগ্ন বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেহগুপ, কিরাটন বিলপাড়া ইত্যাদি এলাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই আক্রমনে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান পাশুর পিতা আব্দুল বারেক, মালু, চান্দু, আফতাব উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন, হাবিব উল্লাহসহ আরো অনেকইে নিহত হন। ১ম সাক্ষী আরো বলেন, ১৩ নভেম্বর এটিএম নাসিরের নেতৃত্বে আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

অন্যদিকে ২য় সাক্ষী আদম আলী বলেন, একাত্তরের ১২ নভেম্বর আসামি মান্নানের নেতৃত্বে রাজাকাররা আয়লা গ্রাম ঘেরাও করে। রাজাকার এটিএম নাসির, শামছুদ্দিনসহ অন্য রাজাকাররা আমার ভাই মজিবুর রহমান মঙ্গলকে আটক করে। আমার বাবা-ভাইকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে রাজাকার নাসির বাবা আব্দুল বারিককে গুলি করে হত্য করে। এ হত্যাকাÐ সাক্ষী নিজ ঝুপের আড়াল থেকে দেখেছেন। আসামি শামছুদ্দিনকে সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে সনাক্ত করেন।

এফএইচ/এএইচ/পিআর