ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

উন্নয়ন কেন্দ্রে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তদন্তে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২০

দেশের তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে শিশুদের ওপর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সংযুক্ত করে শিশুদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর শোচনীয় অবস্থার কথা উল্লেখ করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বিভিন্ন সময় সংঘটিত নির্যাতন ও অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা এ ঘটনার জন্য কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। এছাড়া যশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত।

নোটিশে তিনি শিশুদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।

মনোজ কুমার ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, আইনি নোটিশের যথাযথ জবাব না পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের শিশু আইন বাস্তবায়নে (বর্তমানের শিশু আইন ২০১৩) ১৯৭৮ সালে গাজীপুরের টঙ্গীতে এবং ১৯৯৫ সালে (কার্যক্রম শুরু) যশোরের পুলেরহাটে ছেলেদের জন্য এবং ২০০৩ সালে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে (মেয়েদের জন্য) উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে পরিচালিত তিনটি কেন্দ্রের মোট আসনসংখ্যা ৬০০।

অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যশোরে আসনসংখ্যা ১৫০, তবে বর্তমানে সেখানে আছে ২৮৩ জন। টঙ্গীতে আসনসংখ্যা ৩০০, সেখানে নিবাসীর সংখ্যা ৫৩৩। আর মেয়েদের জন্য উন্নয়ন কেন্দ্রের আসনসংখ্যা ১৫০, সেখানে আছে ৮৩ জন। সব মিলিয়ে ৬০০ আসনের বিপরীতে নিবাসী আছে ৯০২ জন। অর্থাৎ আসনের চেয়ে দেড়গুণের বেশি নিবাসী নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে।

কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সীমিত বাজেট, প্রশাসনিক দুর্বলতা, অপর্যাপ্ত জনবল, অনুন্নত সংশোধন প্রক্রিয়া, পুনর্বাসন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

এফএইচ/বিএ/এমকেএইচ