ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

স্বজন ও আইনজীবীদের সাক্ষাৎ পাবেন না ওসি প্রদীপ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৯:০৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মেজর (আব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তার কোনো আত্মীয়-স্বজন, এমনকি তার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না- এমন নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। তবে তিনি চাইলে কারাবিধি অনুযায়ী টেলিফোনে আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালত কারাগার থেকে আসা একটি রিপোর্টের ওপর শুনানি শেষে এমন নির্দেশনা দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে প্রদীপ সাক্ষাৎ করতে পারবেন— এমন আদেশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত। এখন থেকে প্রদীপ শুধু আত্মীয়-স্বজন ও তার আইনজীবীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে পারবেন। কেননা বর্তমানে কারা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্দিদের টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ দেন।

oc-prodip

প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন বলে আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালত। পরে কারাগার থেকে আসা একটি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আদালত নিজেই সেই আদেশ রহিত করেন।

গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেয়া হয়।

আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে থাকা প্রদীপকে দুদকের করা মামলায়ও গ্রেফতার দেখায়। সেই থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে প্রদীপ দাশ।

গত ২০ সেপ্টেম্বর দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের স্ত্রীর বাড়ি-গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, আসামিরা সম্পত্তিগুলো হস্তান্তর ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছে বলে দুদক জানতে পারে। এজন্য এগুলো যাতে বিক্রি করা না যায় কিংবা হস্তান্তর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্রোকের নির্দেশ দেয়ার আবেদন করা হয়।

oc-prodip-02

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান প্রদীপের স্ত্রীর নামে নগরের পাথরঘাটা এলাকার দুই ইউনিটবিশিষ্ট একটি ছয়তলা বাড়ি, নগরের মুরাদপুর এলাকার সেমিপাকা বাড়ি, কক্সবাজারে ফ্ল্যাট, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার একটি করে এবং ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা থাকা বেসিক ব্যাংক নগরের আসাদগঞ্জ শাখার একটি হিসাব ক্রোকের আদেশ দেন।

গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অসুস্থতার কথা বলে থানা থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসেন প্রদীপ। চট্টগ্রামে থাকেন আত্মগোপনে। সেখান থেকে ৬ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে কারাগারে। প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক।

এমএআর/পিআর