ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

স্পার আড়ালে উঠতি তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালাত তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজধানীর গুলশানের অ্যাপেল থাই স্পা সেন্টার থেকে গ্রেফতার ১২ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী উঠতি তরুণীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কার্যপরিচালনা করে আসছে। পতিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তত রাখা অবস্থায় আসামিদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

তারা পতিতাবৃত্তির কাজের সঙ্গে জড়িত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা কথা স্বীকার করেন। ২১ সেপ্টেম্বর এই ২৮ জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গুলশান থানার মানবপাচার আইনে করা মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনের উল্লেখ করেন, আসামিরা ঢাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে উঠতি তরুণীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ এবং নিপীড়নমূলক কার্য পরিচালনা করে আসছে। ঘটনাস্থলে অসামাজিক কার্যকালাপে লিপ্ত এবং পরিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তত রাখা অবস্থায় আসামিদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আসামিরা পতিতাবৃত্তির কথা স্বীকার করেছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করছি। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান-২ এর ১০৫ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, এই স্পা সেন্টারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ চলে আসছিল।

গুলশান থানা পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টায় ওই স্পা সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে স্পার নামে এই সেন্টারকে অসামাজিক কাজে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় ১২ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষকে আটক করা হয়।

জেএ/এমআরএম