ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খালেদার ৪ মামলায় স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগেও বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও দারুসসালাম থানায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাশকতার চার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ওই চার মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত। তবে রুল নিষ্পত্তির দিন তারিখ উল্লেখ করেননি আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে তা নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সমন্বয়ে ভার্চুয়াল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সোমবার (১৭ আগস্ট) এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বদরুদ্দোজা বাদল।

এর আগে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল চলাকালে সহিংসতার অভিযোগে দারুসসালাম থানার তিনটি ও যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে ওই আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই বছরের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। রুলে মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৪ সালের সহিংসতার ঘটনায় ২০১৫ সালে দারুসসালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথকভাবে যখন এই মামলাগুলো হয়, তখন এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। কারণ ঘটনা ঘটার সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে অন্তরীণ ছিলেন।

‘কিন্তু অভিযোগপত্র দেয়ার সময় বেগম খালেদা জিয়ার নাম নাম যুক্ত করা হয়। ফলে আইন অনুযায়ী এই মামলাগুলো চলে না। তাই ২০১৭ সালে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। হাইকোর্ট তখন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে তা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। আজ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। বলেছেন, হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে।’

২০১৫ সালে বিএনপিসহ ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় বাসে আগুন, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনায় ঢাকায় করা ১০টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এসব মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি ও দারুসসালাম থানায় আটটি মামলা রয়েছে। এই ১০টি মামলার মধ্যে আটটি ঢাকার বিশেষ আদালতে, অন্য দুটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।

এই ১০টি মামলার মধ্যে দারুসসালাম থানার তিনটি ও যাত্রাবাড়ী থানার একটি নাশকতার মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনের শুনানি করে ওই বছরের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।

এ চার মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়া এসব মামলায় জামিনে থাকবেন বলে আদেশে বলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চারটি আবেদন সোমবার আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

এফএইচ/এইচএ/জেআইএম