ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’সহ দুজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৪ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২০

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ মনির হাওলাদার ওরফে মনির হোসেন (২৬) ও তার সহযোগী সেলিম ওরফে সেলিম শিকদারের (৩৫) বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই দুজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মতিঝিল থানার মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গুলশান জোনাল টিম এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। তারা দুজন মতিঝিল থানায় মানবপাচারের অভিযোগে করা একটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা অতিরিক্ত টাকার জন্য তাদের বন্দিশালায় জিম্মি করা ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। আহত হন আরও ১১ বাংলাদেশি।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় ২৬টির বেশি মামলা দায়েরসহ ইতোমধ্যে ৭১ মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মানবপাচার চক্রের অন্যতম মূল হোতা মো. মনির হাওলাদার অল্পবয়সী ও অল্প পড়াশোনা করলেও অত্যন্ত চতুর এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই লিবিয়ার মিলিশিয়া, সেনাবাহিনী ও লোকাল পুলিশের সঙ্গে অবৈধ সখ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তিনি তাদের সহযোগিতায় প্রত্যক্ষভাবে বেনগাজির মাঝুরি, ত্রিপোলির সুলেমান এবং জোয়ারার গেইমিং ক্যাম্প পরিচালনা করেন। মনির প্রথমে ২০১০ সালে, দ্বিতীয়বার ২০১৫ সালে এবং তৃতীয়বার ২০১৮ সালে লিবিয়াতে যান। তিনি লিবিয়াতে প্রথমে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে শ্রমিকের চাকরি করতেন। পরবর্তী সময়ে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি চার লাখ টাকার বিনিময়ে দেশীয় দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে শতাধিক লোককে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়াতে নিয়ে যান তিনি।

জেএ/এমএআর/এমএস