জামিন মেলেনি রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মিজানের
মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ শ্রমিকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার আদালতে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৫ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন ভোরে গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ কর্মীকে ভুয়া করোনারিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ২০ জুলাই রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমসহ হাসপাতালের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর করোনার পরীক্ষা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। এ জন্য পরীক্ষাপ্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়।কিন্তু টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরাশাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে র্যাব প্রমাণ পায়, রিজেন্টে করোনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হতো। এ জন্য হাসপাতালটির মিরপুরের শাখাসহ উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
প্রতারণার ওই ঘটনায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি সাহেদকে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জেএ/এফআর/এমকেএইচ