ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

‘অপু ভাই’কে ৩ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২০

সড়কে মারামারির ঘটনায় বাংলাদেশি আলোচিত-সমালোচিত টিকটকার ‘টিকটক অপু’ ওরফে ‘অপু ভাইকে’ সোমবার গ্রেফতার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সড়ক অবরুদ্ধ করে বাদীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম, চুরি ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে স্বীকার করেছেন অপু।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই আজিজুর তালুকদার।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অপুকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপু পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত অন্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

এর আগে সোমবার রাতে অপুসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘অপু ও তার সহযোগীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়কে গাড়ি চলাচল রোধ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত ও গুরুত্বর জখমসহ চুরি, ভয়ভীতি ও হুমকির অপরাধ করেছে।’

মামলায় দণ্ডবিধি ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩৫৯ ও ৩৭৯ ধারায় অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ বেআইনি সমাবেশ, ৩৪৩ ধারায় অন্যায়ভাবে কাজে বাধা প্রদান, ৩২৩ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে হাত দ্বারা বা ভোতা অস্ত্র দ্বারা আঘাত, ৩২৫ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে হাত দ্বারা বা ভোতা অস্ত্র দ্বারা ‘গুরুতর’ আঘাত, ৩২৬ ধারা কোনো ব্যক্তিকে (শুধুমাত্র) ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করা এবং ৩৭৯ ধারায় ঘরের বাহিরে বা খোলা জায়গা থেকে মালামাল চুরির অপরাধে মামলা দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে অপুসহ তার বন্ধু রনি, মুরাদ, জমিরউদ্দিন, নাজমুল, শাহদাত হোসেন শাকিলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরার সড়ক থেকে সহযোগী নাজমুলসহ অপুকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার প্রকৌশলী মেহেদি হাসান রবিন উত্তরার সড়ক দিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তার দু-তিনজন বন্ধুও ছিলেন। তবে আলাউল এভিনিউয়ের সড়ক আটকে ‘অপু ভাই’ ও তার সহযোগীরা টিকটক বানাচ্ছিল।

রবিন রাস্তা বন্ধ দেখে হর্ন বাজায়। হর্ন বাজানোর পর অপু ও তার সহযোগীরা বিরক্ত বোধ করে এবং গাড়ি উদ্দেশ করে অশালীন কথা বলতে থাকে। রবিন ও তার বন্ধুরা গাড়ি থেকে নেমে সাইড দিতে বলে।

তবে ‘কেন গাড়ির হর্ন বাজানো হলো’ এবং ‘কেন রাস্তা ছাড়তে বললো’, এ কারণে অপু ও তার সহযোগী রবিনসহ তার দুই বন্ধুকে মারধর করা হয়। এতে রবিন এবং বাকি দুজন গুরুতর আহত হন।

এআর/জেএ/এএইচ/এমএস