ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

পশুর হাটে ভারতীয় গরু বিক্রি বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ও বন্যার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের খামারিদের চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমতাবস্থায় চোরাচালানের মাধ্যমে বিক্রির জন্য দেশে ভারতীয় গরু আনা হলে দেশীয় খামারিরা আরও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়বেন। তাই কোরবানির সময় ভরতীয় গরু আমদানি ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর কাপ্তান বাজারের গরু ব্যবসায়ী খন্দকার মুহম্মদ জালাল উদ্দিন এবং বগুড়ার মুহম্মদ কামরুল বাসার কমল, মুহম্মদ আব্দুর রউফ এবং মো. জিয়াউল হকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।

রেজিস্ট্রি যোগে শনিবার (২৫ জুলাই) পাঠানো নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে আসন্ন কোরবানির হাটে ভারতীয় গরু বিক্রয় বন্ধে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নোটিশে বলা হয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানির কোনো অনুমতি নেই। গত ২২ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে আয়োজিত চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী জানিয়েছিলেন, এবার ঈদুল আজহায় কোরবানির চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরু আনবে না সরকার। অন্যান্য বছর কোরবানির আগে সীমান্তে বিট খাটালের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা হয়। এবার ঈদের আগে সীমান্তে বিট খাটালের মাধ্যমে গরু আনার অনুমতি দেয়নি সরকার।

সেখানে তিনি বলেছিলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদি পশুর ভালো দাম পায়, তা নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ আসন্ন কোরবানির হাট উপলক্ষে ইতিমধ্যে অসংখ্য ভারতীয় গরু অবৈধভাবে আনা হয়েছে। এসব গরু দেশের বিভিন্ন হাটে তোলা হচ্ছে।

নোটিশে বলা হয়, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ও উত্তরাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশীয় খামারিদের এমনিতেই চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ভারতীয় গরু আসন্ন কোরবানির হাটে তোলা হলে দেশীয় খামারিরা আরও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হবেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, এছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমে গরু আমদানি এবং বিক্রয় উভয়ই প্রচলিত ফৌজদারি আইনে অপরাধ। তাই ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা গরু কোনোভাবেই কোরবানির হাটে বিক্রয়ের জন্য তোলা যেতে পারে না।

এফএইচ/এএইচ/এমকেএইচ