ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

৩ দিনের রিমান্ডে ডা. সাবরিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে চেয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল (রোববার) দুপুরে আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

sabrina

যেভাবে এলো ডা. সাবরিনার নাম
গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু আমাদের জানায়, সে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতো। এই ভয়ানক তথ্য জানার পর আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি এর সাথে কারা জড়িত। সে স্বীকার করেছে, কোর্টেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে ভুয়া রিপোর্টের সাথে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ডিসি হারুন বলেন, তখন জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করি। গ্রেফতার সিইওকে আমরা জিজ্ঞেস করি, ‘এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কে?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী।’ এরপর একে একে ছয়জনই এক উত্তর দিলেন।

কে এই ডা. সাবরিনা

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। পুলিশ বলছে, সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান। তবে সাবরিনা নিজেকে জেকেজির ‘চেয়ারম্যান নয়’ বরং প্রতিষ্ঠানটির ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক পরামর্শক’ দাবি করেছেন।

sabrina

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সাবরিনা আরিফের চতুর্থ স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিয়া ও লন্ডনে থাকেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে তার। চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার অন্য এলাকা এবং অনেক জেলা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করছিলেন তারা।

সূত্র আরও জানায়, ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল সাবরিনা-আরিফ দম্পতির জেকেজি প্রতিষ্ঠান। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেয়া ছিল। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেককে জেকেজির বুথের ঠিকানা দেয়া হতো। এভাবে কর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করতো।

sabrina3

পরে তাদের গুলশানের একটি ভবনের ১৫ তলার অফিসের একটি ল্যাপটপ থেকে ভুয়া সনদ দিত। ওই ল্যাপটপ থেকে জেকেজির কর্মীরা রাতদিন শুধু জাল রিপোর্ট তৈরির কাজ করতো। প্রতিটা সনদের জন্য নেয়া হতো পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিদেশিদের কাছ থেকে নেয়া হতো ১০০ ডলার। যদিও শর্ত ছিল বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ল্যাবে পাঠাতে হবে। কিন্তু তারা সব ধরনের শর্তভঙ্গ করে পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দিত।

এদিকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ডা. সাবরিনাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। রোববার (১২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।

জেএ/এনএফ/জেআইএম

টাইমলাইন

  1. ০২:০৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০২০ কারাগারে ডা. সাবরিনা
  2. ০৬:০৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ অধিদফতরে প্রভাব খাটিয়ে আরিফকে কাজ পাইয়ে দিতেন সাবরিনা
  3. ০২:০৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ সাবরিনা আবারও রিমান্ডে
  4. ০১:১০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ সাবরিনার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি
  5. ১২:৫৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ আদালতের হাজতে রাখা হয়েছে ডা. সাবরিনাকে
  6. ১২:১৩ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ সাবরিনাকে নেয়া হচ্ছে আদালতে, চাওয়া হবে আবারও রিমান্ড
  7. ১১:৩২ এএম, ১৪ জুলাই ২০২০ ডিবি কার্যালয়ে সাবরিনা
  8. ০৭:৪৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক
  9. ১২:০৯ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ ৩ দিনের রিমান্ডে ডা. সাবরিনা
  10. ০৬:৩০ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ ডা. সাবরিনা বরখাস্ত
  11. ০৬:০৯ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ কে এই সাবরিনা, জিজ্ঞাসাবাদে যেখানে আটকে যান তিনি
  12. ০৪:৪৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনার উত্তর সন্তোষজনক ছিল না, তাই গ্রেফতার
  13. ০৩:২৬ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ জেকেজির ডা. সাবরিনা গ্রেফতার
  14. ০২:৫০ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ জেকেজির ডা. সাবরিনা পুলিশ হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে