ভার্চুয়াল কোর্ট: এক লাখের বেশি শুনানি, জামিন প্রায় ৫৫ হাজার
বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময়ে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশের অধস্তন (বিচারিক) আদালতসমূহে গত ১১ মে থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৪০ কার্যদিবসে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭টি জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার (১২ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ৫ জুলাই থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১১ হাজার ৫১৪টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে ৪ হাজার ৯১৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৫ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ হাজার ৫৮৮টি মামলায় আত্মসমর্পণ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মোট ২৩ হাজার ৩৯৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
গত ১১ মে থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৪০ কার্যদিবসে সারাদেশের শিশু আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সে নির্দেশ অনুসারে জামিন আবেদন ও এ সংক্রান্ত দরখাস্তের শুনানি নিয়ে অধস্তন আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু হয়।
মহামারি করোনাকালে সাধারণ ছুটির মধ্যে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এর দুই দিন পরে গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতি সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমতে হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবেন। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাকটিস ডাইরেকশন জারি করে আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুসারে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়ে আসছে।
এফএইচ/এমএফ/এমকেএইচ