প্রতিটি বার প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের তথ্য চান হাইকোর্ট
দেশের সকল জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণেবাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক গত ১৫ জুন জারি করা স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যেকটি আইনজীবী সমিতি মেনে চলছে কি-না, সে বিষয়ে মনিটরের জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি আইনজীবী সমিতিগুলো কর্তৃক বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৪ জুন) হাইকোর্টের বিচরপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।
দেশের প্রত্যেক জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, স্যানিটাইজার, সাবান, ও হাত দোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ আইনজীবী ভবন পরিচালনায় একটি বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট পিটিশন দাখিল করেন।
হুমায়ন কবির পল্লব জানান, রিট পিটিশন দাখিলের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সকল জেলা আইনজীবী সমিতিগুলোর জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করে তা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
বুধবার এ রিট শুনানির পর আদালত দুটি নির্দেশ দিয়েছেন- এক. বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক গত ১৫ জুন জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যেকটি আইনজীবী সমিতি মেনে চলছে কি-না, সে বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুই. নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি আইনজীবী সমিতিগুলো কর্তৃক বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা হয়তো কখনোই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না। নিয়মিত কোর্ট খুললে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী কোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত হবেন। ফলে, দেশের কোর্ট প্রাঙ্গণই হয়ে যেতে পারে করোনার নতুন হট স্পট। ইতোমধ্যে অসংখ্য আইনজীবী ও কোর্টস্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে মারাও গেছেন। বিচারকগণও এর থেকে মুক্ত নন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তা সারাদেশে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
তাই এখন থেকেই এই বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করে রাখা প্রয়োজন- উল্লেখ করা হয় রিট পিটিশনে।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বার কাউন্সিলের সচিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এবং ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি।
এর আগে ১৬ মে এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই দুই আইনজীবী একটি আবেদন দাখিল করেন। সেই আবেদনের কোনো সুরাহা না করায় রিট দাখিল করা হয়।
এফএইচ/এমএআর/এমএস