ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

দেশে প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সে শপথ হাইকোর্টের বিচারপতিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ৩০ মে ২০২০

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১৮ বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।

শনিবার (৩০ মে) বিকেলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৮ বিচারককে শপথবাক্য পাঠান করান। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতিদের শপথ গ্রহণ দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম।

হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত ১৮ বিচারককে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হিসেবে শুক্রবার (২৯ মে) নিয়োগ দেয়া হয়। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে ওই নিয়োগ দেন।

শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে বলে শুক্রবার জারি করা নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এরপর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ ১৮ বিচারপতি শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেন।

শপথ নেয়া ১৮ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি ফাতেমা নজীব, বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী, বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম, বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আহমেদ সোহেল, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগ তথা দেশের ইতিহাসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান এটিই প্রথম।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ মে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ১৮ জনকে নিয়োগ দেন। পরদিন শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের ওই নিয়োগ কার্যকর হয়। দুই বছর মেয়াদ শেষে আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে স্থায়ী হলেন তারা।

এফএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ