ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

করোনা : কারাবন্দিদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ জানতে চেয়ে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ১৪ মে ২০২০

কারাবন্দিদের মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব থেকে রক্ষার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কারা কর্তৃপক্ষ আইজিপ্রিজনকে এ বিষয় নেয়া পদক্ষেপের কথা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।

ই- মেইলে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সুপ্রিমকোর্টের আইনাজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজেই।

নোটিশে বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগারে কারাবন্দীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মুক্তির বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার থেকে রক্ষায় সামাজিক দূরত্বকে প্রধান উপায় হিসাবে গণ্য করা হয়। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের সকল দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নির্দেশনা জারি করছে।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশ সাধারণ ছুটির আদলে মূলত লকডাউন চলছে। সকল পর্যায়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দিদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার দিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছে। নোটিশে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে দেশের ৬৮ টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনের স্থান হলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দী রয়েছে।

এই অবস্থায় কারাভ্যন্তরের বন্দীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বস্তুত অসম্ভব। এরইমধ্যে ২৩ জন করারক্ষী এবং ২ জন বন্দীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক বন্দী মৃত্যুবরণ করেছে।

গবেষণায় প্রতীয়মান হয় যে, করাগারের সংকীর্ণ জায়গা সংক্রামক ব্যাধির উর্বর ক্ষেত্র। অধিকন্তু কারাবন্দীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী তাদের চলতে হয়। এই প্রেক্ষাপটে করাবন্দীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়।

এফএইচ/এনএফ/পিআর