ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভার্চুয়াল শুনানি : হাইকোর্টে জমা হচ্ছে জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১১ মে ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানির জন্য দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্টে ই-মেইলে আবেদন শুরু করেছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (১১ মে) হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে মক্কেলদের পক্ষে তারা এই আবেদন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে খবর নিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কোর্টে একাধিক জামিন আবেদন জমা পড়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে তিনটি জামিন আবেদন জমা পড়েছে। একটি করেছেন আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন। অপর দুটি করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মো. শাহীন মিয়া।

আইনজীবী দেওয়ান মো.আবু ওবায়েদ হোসেন জানান, প্রত্যেকটা জামিনই জরুরি। কিন্তু এক বছর ধরে আমার মক্কেল কারাগারে। তার জামিন দরকার। এ জামিন আবেদন আগেও করেছিলাম। কিন্তু তখন শুনানি হয়নি।

ভার্চুয়াল কোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আগে থেকে এটি ছিল। এটা সময়ের দাবি। আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে শুরু করেছি। এটা ভালো উদ্যোগ।

শিশির মনির জানান, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের জামিন আবেদন করেছি। তিনি বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ। তাই তার জামিন আবেদন করেছি।

শাহীন মিয়া বলেন, আমি ই-মেইলে একটি সামারি পাঠিয়েছি। যদি ভালো ফিডব্যাক পাই তাহলে পরিপূর্ণ জামিন আবেদন করব।

এখন এসব আবেদন কতটুকু জরুরি তা যাচাইয়ের পর শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কজলিস্টে তালিকাভুক্ত হবে। এরপর ভিডিও কনফারেন্সে নির্ধারিত সময়ে আবেদনের ওপর শুনানি হবে। যেখানে আদালত, আবেদনকারীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ যুক্ত থাকবেন।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ওইদিন প্রথমবারের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।

এ অবস্থায় গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এর দুদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমতে হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময় প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

এফএইচ/জেডএ/এমকেএইচ