খালেদার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা ২১ অক্টোবর
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজার এলাকার উমেষ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালত বৃহস্পতিবার মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে পরবর্তী ওই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতে ‘লিভ টু আপিল’ থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে অসুস্থ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে অনুপস্থিতির জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন পেশ করেন তার আইনজীবী। আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন।
এরপর মামলাটির অষ্টম, নবম ও দশম সাক্ষী (জব্দ তালিকার সাক্ষী) সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ড. মো. হাফিজুর রহমান, এজিএম মো. আমিরউদ্দিন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার পরিতোষ চন্দ্রকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান।
সাক্ষীদের জেরা শেষে এ মামলার জব্দ তালিকার আরো তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষিরাা হলেন- স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নওশাদ মোহাম্মদ, রিলেশনশিপ ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম ও কাস্টমার সার্ভিসেস ম্যানেজার অলোক কান্তি চক্রবর্তী। আগামী ২১ অক্টোবর এ সাক্ষীদের জেরাসহ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ জন সাক্ষী। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। স্ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক । এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি: দুদক
- ২ বাংলাদেশ নিয়ে গুজব, ভারতের রিপাবলিক বাংলা টিভি নিষিদ্ধের দাবি
- ৩ ড. ইউনূসের ছয় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুুর: ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ৪ খালেদা জিয়ার আপিলের অনুমতি মিলবে কি না, জানা যেতে পারে সোমবার
- ৫ শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে