ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হ্যাকার নাইমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৭ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হ্যাকার মো. নাইমুর রহমান নাইমের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার(১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এ দিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় কদমতলী থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের কদমতলী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ রকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মধ্যরাতে সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিমের সদস্যরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। জব্দ ডিভাইস থেকে অপরাধের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বুধবার (১ এপ্রিল) কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।

সিআইডির সাইবার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, গত ২৯ মার্চ সাইবার মনিটরিং টিম একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে। জনৈক একজন তথ্যদাতা আমাদের পেজে নক করে ফেসবুক লিংক শেয়ার করেন। সেই লিংকে গেলে নিম্নোক্ত পোস্ট পাওয়া যায় যাতে প্রচুর লাইক ও শেয়ারের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পোস্টে লেখা ছিল, ‘এইমাত্র জানা গেল আমাদের শনির আখড়ায় ও সাইনবোর্ড এলাকায় ২৭ জন মারা গেছে করোনা ভাইরাসে। আপনারা সবাই সতর্ক হন, নিজে জানুন অন্যকে জানাতে সাহায্য করুন।শেয়ার করে তথ্যটি সবার কাছে পৌঁছে দিন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।’

এ তথ্য পাওয়ার পরই তদন্তে নামে সাইবার পুলিশের একটি বিশেষ টিম। প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেই পোস্টকারী নাইমুর রহমানকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে নাইম জানায়, তিনি আইডিটি হ্যাক করেছেন। আইডির আসল মালিক তার এক সময়ের বন্ধু ছিল। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সে নাইমকে মারধর করে। এরপর থেকেই নাইম প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং গত ২৩ মার্চ নাইম ওই আইডি হ্যাক করতে সক্ষম হয়।

গত ২৯ মার্চ নাঈম বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই বিভ্রান্তিকর পোস্টটি করে। নাইম সেখানেই থামেনি। সে অন্য একটি ফেক আইডি তৈরি করে সেটা দিয়ে সাইবার পুলিশের পেজে এই পোস্ট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, যাতে আইডির আসল মালিক গ্রেফতার হন।

হ্যাকার নাইমুর রহমানের মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করেছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। সে একজন কন্ট্রাক্ট হ্যাকার। টাকার বিনিময়ে এর আগেও সে ফেসবুক হ্যাকিংয়ের কাজ করেছে। তার ডিভাইস থেকে ইতিমধ্যে অপরাধের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

জেএ/এএইচ