ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মাদকের টাকা না দেয়ায় মাকে হত্যা

জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২০

মাদকের টাকা না দেয়ায় মা সুরাইয়া আক্তারকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তার ছেলে সজীব হাওলাদার (১৭)। সজীব হাওলাদার গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করতেন। মা সুরাইয়া আক্তার মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। গেল শুক্রবার রাতে মায়ের কাছে মাদক কেনার জন্য টাকা চান সজীব। টাকা না দেয়ায় তিনি মাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) যাত্রাবাড়ীর মীর হাজীরবাগ এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে সজীবকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। শনিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সজীব। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সোমবার (৩০ মার্চ) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (উপ-পরিদর্শক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সজীব গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করতেন। মাদকের টাকা না পাওয়ায় নিজের মাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার মীর হাজীরবাগ চৌরাস্তায় লাড্ডু মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সুরাইয়া। তিনি বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। তার ছেলে সজীব মাদকাসক্ত ছিলেন। শুক্রবার রাতের বেলা বাসায় মায়ের কাছে মাদকের জন্য টাকা চান। টাকা না পেয়ে মায়ের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় বেরিয়ে আসে সুরাইয়া। তার পিছে পিছে সজীবও বাসার সামনের রাস্তায় এসে তার মাকে ছুরিকাঘাত করেন।

চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন সজীবকে ধরে থানায় খবর দেয়। সুরাইয়াকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সুরাইয়ার ছোট ছেলে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে সজীবকে।

সজীবকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ। এরপরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।

পরের দিন সজীবকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (উপ-পরিদর্শক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসাইন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেএ/এসআর/পিআর