ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রেইনট্রিতে ধর্ষণ : সাক্ষী না আসায় ঝুলে আছে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২০

রাজধানীর বনানীতে ‘দ্যা রেইনট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আজ তিন বছর। এই দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি আলোচিত এ মামলাটি। মূলত ভুক্তভোগীর বন্ধু আহমেদ শাহরিয়ার সাক্ষ্য দিতে না আসায় মামলাটির কার্যক্রম ঝুলে আছে।

মামলাটি ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। সর্বশেষ ২৩ মার্চ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির হননি। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৭ মে দিন ধার্য করেছেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ও খুরশীদ আলম সাক্ষ্য দেন। এরপর থেকে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গৃহীত উদ্যোগের কারণে মামলাটির বিচার কার্যক্রম একটু বিলম্বিত হচ্ছে। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা হবে। আশা করছি দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি হবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ প্রায় শেষের দিকে। মামলার দুই ভিকটিমের বন্ধু আহমেদ শাহরিয়ার। তাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। তারপরও তিনি আদালতে হাজির হচ্ছেন না। তিনি আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তিনি সাক্ষ্য দিলে ডাক্তার, ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন। এরপর মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হবে।রাষ্ট্রপক্ষের উচিত সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করানো।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্যা রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন দুই ভুক্তভোগী।

২০১৭ সালের ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।

২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ছাড়াও অভিযুক্ত অপর চারজন হলেন তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ (কারাগারে), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

জেএ/এমএফ/এমএস