ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

এসআই জাহিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০

থানায় নিয়ে জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন তার আইনজীবী।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে জাহিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। এদিন তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ায় অপর আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বুধবার (১১ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার বাদী রকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যান। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে।

পরে থানায় নিয়ে জনিকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে জনির অবস্থা খারাপ হলে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

জেএ/এএইচ/পিআর