দীপন হত্যা : বোনসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বড় বোন সুচিতা সরমিনসহ চারজন। অপর সাক্ষীরা হলেন- রমজান আলী (কনস্টেবল), আনারুল ইসলাম (পুলিশ পরিদর্শক) ও আব্দুল হানিফ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাটের অফিস সহকারী।
বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।
সুচিতা সরমিন জবানবন্দিতে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আমি সন্ধ্যার সময় ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা দীপকে আক্রমণ করেছে। এরপর শাহাবাগ থানাধীন আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে আমি রওনা হয়। পথ অনেক জ্যাম থাকায় কাটাবোনের রোড ধরে আসতে থাকি। পথিমধ্যে জানতে পারি দীপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা হই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছাতে অনেক সাংবাদিকদের দেখতে পাই। ওখান থেকে জানতে পারি দীপনকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) ঢোকানো হয়েছে। এরপর পরিবাগ এলাকায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পরিবাগের এলাকায় আসতে না আসতে পথিমধ্যে জানতে পারি আমার ছোর ভাই দীপন আর বেঁচে নেই। পরদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে লাশ সনাক্ত করি এবং সুরতহাল রিপোর্টে আমি সাক্ষ্য করি।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪); সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আ. সবুর (২৩); সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম (২৪); সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪); সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫); সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭); সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০); সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮); সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
জেএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ