নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই মেয়ের জামিন আপিলে বহাল
অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদাকে হাইকোর্টের দেয়া আট সপ্তাহের আগাম জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই মেয়ের পক্ষের আইনজীবী আশানুর রহমান।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, নাজমুল হুদার স্ত্রী ও দুই মেয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও আশানুর রহমান।
আশানুর রহমান বলেন, দুদকের মামলায় নাজমুল হুদা ও তার দুই মেয়েকে আট সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে যায় দুদক। রোববার শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন খারিজ করে দেন। এর ফলে তাদের জামিন বহাল থাকল।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
গত ৯ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাজমুল হুদার স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে এক মামলায় সিগমা হুদা ও অন্তরা সেলিমা হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের সমপরিমাণ চার কোটি ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার করেন তারা। সেই অর্থ দিয়ে লন্ডনের ওয়াটার গার্ডেনের বারউড প্যালেসে তারা ২০০৩ সালের ২৬ জুন একটি ফ্ল্যাট কেনেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড স্টার্লিংয়ের সমপরিমাণ দুই কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করে যুক্তরাজ্যে পাচার করেন। ওই অর্থ দিয়ে তারা ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর লন্ডনের হেলনি কোর্টের ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কেনেন।
এফএইচ/এমএআর/এমকেএইচ