ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জামালপুরের ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ২৬ অক্টোবর

প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের আট রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের তারিখ ২৬ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের পক্ষে বুধবার শুনানি করেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মশিউজ্জামান।

মামলার আট আসামির মধ্যে দু’জন অ্যাডভোকেট শামসুল আলম এবং এস এম ইউসুফ আলী কারাগারে আছেন। পলাতক অন্য ছয়জন হলেন- আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুল বারী, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম।

এর আগে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তারা এতে সাড়া দেয়নি।

গত ২৯ এপ্রিল এ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ৬ রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল এ আট আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৫টি ঘটনায় আনুষ্টানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলার আইও মতিউর রহমান বলেন, গত ২৫ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে হন্তান্তর করা হয়। এ আসামিদের বিরুদ্ধে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ৯২ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত  প্রতিবেদনসহ ৫৯৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ, দলিল ও ডকুমেন্টস রয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে তদন্ত কাজ শুরু করে ২৪ মার্চ তা সম্পন্ন করেন। মামলায় ঘটনার ৩৪ জন ও জব্দ তালিকার ৬ জনসহ মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছেন।

প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ আশরাফ হোসেনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির পর ওই দিনই অভিযান চালিয়ে জামালপুর শহরের নয়াপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে শামসুল হককে ও ফুলবাড়ীয়ার জাহেদা শফির মহিলা কলেজ গেট প্রাঙ্গণ থেকে ইউসুফ আলীকে  গ্রেফতার করা হয়।

বর্তমানে কারাগারে থাকা এ দুই আসামিকে তদন্তের স্বার্থে গত ৬ মার্চ সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা।

এফএইচ/এসকেডি/পিআর