ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হোসেন-মোসলেমের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৬:০১ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পলাতক বাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মো. হুসাইন ওরফে হোসেন (৬৪) এবং গ্রেফতার কিশোরগঞ্জের মো.মোসলেম প্রধান (৬৬) এর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা।

বুধবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তারা বলেন, দুই জনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠণ, অগ্নি-সংযোগ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পযন্ত দীর্ঘ ৯ মাস ২৫ দিন তাদের অপরাধের তদন্ত করেন।
 
তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে মূল একশত ৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট চারশত ৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে ৬০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনা স্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনা স্থলের স্থির চিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে।

দুই জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগ গুলো নিন্ম রূপ :

প্রথম অভিযোগ- নিকলীর দামপাড়া গ্রাম ও নিকলী থানা ভবন, সদরের মহাশশ্মান এলাকায় ৭১ সালের আগস্ট মাসের মাঝা-মাঝি সময় থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হুসাইনের বিরুদ্ধে ছয় নারীকে ধর্ষণ, সুধীর সুত্রধরসহ ৩৫ জনকে হত্যা ও বাদল বর্মনসহ চারজনকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগ- নিকলী বাজার ও থানা কম্পাউন্ড এলকায় হুসাইন ও মোসলেম প্রধানের নেতৃত্বে ৭১ সালের ২ সেপ্টম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত কাশেম আলীসহ চারজনকে আটক ও নির্যাতন।

তৃতীয় অভিযোগ-নিকলীর গুরুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফুল মিয়াসহ ২৬ জনকে হত্যা এবং ২৫০টি বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

চতুর্থ অভিযোগ-নিকলীর নানশ্রী গ্রামে ৭১ সালের ২১ সেপ্টম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তোফাজ্জল খান জিতুসহ সাতজনকে  অপহরণসহ নির্যাতনের অভিযোগ হুসাইনের বিরুদ্ধে।

পঞ্চম অভিযোগ- হুসাইন ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে ৭১ সালের ১০ অক্টোবর নিকলী সদরের পূর্বগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মালেকের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

ষষ্ঠ অভিযোগ- ৭১সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটা থেকে মধ্য রত পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহান ও মো. সেলিমকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ রাজাকার হুসাইন কিশোরগঞ্জ পৌরসদর, প্যারাভাঙা ও শোলাকিয়ায় রিকশা দিয়ে ঘুরিয়েছিল। এবং মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহানের মাকে তার ছেলের রক্ত দেখিয়ে বিভৎসতা প্রর্দশন করেছিল।

এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি