ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ঝালকাঠির পিপি হায়দার হত্যা : ৫ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলার পিপি (সরকারি কৌশলী) হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

আসামিরা হলেন-মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। তাদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন পলাতক।

আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এই রায় দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ সোমবার বিষয়টি জানান।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, এস এম মাহাবুবুল ইসলাম ও মো. কামাল। পলাতকসহ দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আসাদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, সৈয়দা শবনম মুশতারী ও তরিকুল ইসলাম।

২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন হায়দার হোসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরদিন ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. তারেক ইবনে হায়দার।

এ মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম। রায়ের ওই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। হাইকোর্টে রায়ের পরই ওই বছরই আসামিদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিন আসামি আপিল ও এক আসামি জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মঞ্জুর করে আসামিদের আপিল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।

বশির আহমেদ আরও বলেন, দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট ওই পাঁচ জেএমবি সদস্যর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।

এদিকে উচ্চ আদালত ফাঁসির আদেশ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত পিপির পরিবার। নিহতের একমাত্র পুত্র তারেক ইবনে হায়দার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’তিনি আদালত ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এখন ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখার অপেক্ষায় আছে পরিবার।

মো. আতিকুর রহমান/এফএইচ/এসআর/পিআর