ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মজনুর মুখে অশ্লীল গালি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ মজনুকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মজনু।

তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এরপর আদালত থেকে তাকে হাজতখানায় নেয়ার পথে ছবি তুলতে যান ফটো সাংবাদিকরা। এতে ক্ষেপে যান মজনু। সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। সাংবাদিকরা কেন তার ছবি তুলছে এ প্রশ্ন তুলে বেশ কয়েকবার গালি দেন তিনি!

গত ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেন আদালত।

গত ৫ জানুয়ারি (রোববার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।

র‍্যাব জানিয়েছে, ‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেন তিনি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।’

গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, ‘মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায় র‍্যাব জানায়, ‘সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণের জন্য টার্গেট করেন।’

র‌্যাব আরও জানায়, ‘কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলেন, তার স্ত্রী মারা গেছেন। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।’ 

জেএ/এসএইচএস/পিআর