ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

নুরদের ওপর হামলা : মামুন তূর্য শান্ত কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য এবং মেহেদি হাসান শান্ত।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন এদিন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিনুর রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাইনুল ইসলাম প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করে। মামলা নং- ৩৪।

vp

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন, বুলবুল গ্রুপের ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে রাষ্ট্রপতি বরাবর টেলিনর কর্তৃপক্ষের উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে মামুন ও বুলবুলের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে ডাকসু ভবনের সামনে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ ও ফারুকসহ আরও ২০-২৫ জন নেতাকর্মীর সঙ্গে যুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বর্ণিত (এজাহার নামীয়) নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য ও ইটপাটকেল বিনিময় হয়। একপর্যায়ে ভিপি নুরসহ তার সঙ্গীরা ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। তখন মামলার এজাহারনামী ৮ আসামিসহ আরও ৩০-৩৫ জন আসামি লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবৈধ জনতাবদ্ধে ডাকসু ভবনে ঢুকে ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের এলাপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করেন। তারা ডাকসু ভবনে নুরের কক্ষের জানালার কাচঁ, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। মারামারিতে অংশ নেয়া মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মী হত্যার উদ্দেশ্যে ডাকসুর ভিপি নুরসহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতে গুরুতর জখম করে।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানীসহ প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। একপর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং প্রক্টর টিমের সহযোগিতায় ভিপি নুরসহ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আসামিরা ‘অবৈধ জনতাবদ্ধে’ ডাকসু ভবনে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে নুরদের ওপর হামলা ও কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/১০৯ ধারায় অপরাধ করায়, মামলা করে পুলিশ।

মামলার ৮ আসামি হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখার সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম এবং মাহবুব হাসান নিলয়।

জেএ/জেডএ/জেআইএম