ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রুম্পার প্রেমিক সৈকত চার দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুম্পার ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শনিবার রাতে সৈকতকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়

জানা যায়, ২২ বছর বয়সী সৈকত স্বীকার করেছেন, রুম্পা তার প্রেমিকা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রুম্পার সঙ্গে তার কথা হয়। সৈকত একসময় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়। সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠায়। ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে। ভবন থেকে পড়ে মারা যাওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা? তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রমনা থানার ওসি নিহতের পরিচয় নিশ্চিতের তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘নিহতের নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন’।

ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি দক্ষিণ বিভাগ)। ডিবি দক্ষিণের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর ছায়া তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ। আসলে সুইসাইড নাকি হত্যা সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাছাড়া অন্যান্য আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে মোটিভ।’

অন্যদিকে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে স্থান থেকে মরদেহ আমরা উদ্ধার করেছি, তার আশপাশের কোনো ভবনে থাকত না নিহত রুম্পা। রুম্পা থাকত শান্তিবাগে। স্বভাবত, সন্দেহ জোরালো হয় যে, রুম্পা হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে সেটাও তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষ। রুম্পাকে হত্যার পর এখানে আনা হয়েছে নাকি কোনো ভবন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে অথবা উপর থেকে সে সুইসাইড করার উদ্দেশে লাফিয়ে পড়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। কিন্তু তাতে বিশেষ সাহায্য পাইনি। ঘটনাসংশ্লিষ্ট ফুটেজ মেলেনি। তবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। কাউকে আটক না করলেও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আশা করছি, দ্রুত পুরো ঘটনাটা স্পষ্ট হবে।’

জেএ/বিএ/জেআইএম