ভিকারুননিসার নতুন অধ্যক্ষের বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ আজ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফওজিয়াকে নিয়োগ দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর আদেশ আজ মঙ্গলবার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আদালতে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, কোন কর্তৃত্ববলে সরকার এখানে মাউশি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিল? এটা তো দেবে গভর্নিং কমিটি।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আবেদনটি ‘নট টু ডে (আজ নয়)’ রাখেন। আমরা আইন দেখে বলব।
জবাবে ইউনুছ আলী বলেন, মঙ্গলবার অধ্যক্ষ যোগদান করার কথা। এজন্য যোগদান স্থগিত করতে হবে। তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিষয়টি আমরা দেখব।
পরে আদালত বলেন, মঙ্গলবার (আজ) এটি আদেশের জন্য থাকবে। আর অধ্যক্ষ অন্তত মঙ্গলবার ১১টা পর্যন্ত যেন যোগদান করতে না পারেন সে বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিশ্চিত করবেন।
আদালতে আবেদনটি দায়ের করেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
আবেদনের পর তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের রেগুলেশন ২(এ)(ই), ৩(১) (২) অনুযায়ী, অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির এবং ২০০৯ সালের রেগুলেশন ৪১ (২)(খ)(৪) অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির। কিন্তু সরকার অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে মাউশির একজন কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়।
আবেদনে ফওজিয়াকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না-এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় প্রজ্ঞাপন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার কার্যক্রমের ওপরে স্থিতাবস্থা জারিরও আরজি জানানো হয়।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ, অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। ২০১৯ সালে করা এক রিট আবেদনের অংশ হিসেবে এ সম্পূরক আবেদন করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফওজিয়াকে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এফএইচ/এসআর/পিআর